কলকাতা প্রচ্ছদ 

“তদন্তে সহযোগিতা করছে না বলে চুপ করে বসে থাকবেন? এসএসসি এবং পর্ষদের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিন!” কড়া পর্যবেক্ষণ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : এবার এসএসসি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার নিদান দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আর এই নিদান দিলেন কোন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে নয় রাজ্যের সিআইডিকে। মেমো নম্বর জাল করে চাকরি পাওয়ার ইস্যুতে সিআইডিকে যে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টমুর্শিদাবাদের গোঠা এয়ার স্কুলে ‘অবৈধ’ শিক্ষক নিয়োগের ঘটনায়। সেই মামলার শুনানিতে আজ কড়া ভাষায় এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কে আক্রমণ করলেন বিচারপতি স্বয়ং।

এই মামলার তদন্তভার কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছিল রাজ্যের সিআইডিকে।সংশ্লিষ্ট মামলায় সিআইডির তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়ে মঙ্গলবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সিআইডির ডিআইজিকে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্য়ে সশরীরে আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

আদালত সূত্রের খবর, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বিচারপতির এজলাসে এসে পৌঁছন সিআইডির ডিআইজি সোমা দাস মিত্র। আদালতকে তিনি জানান, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তদন্তে সহযোগিতা করছে না।

যা শুনে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “তদন্তে সহযোগিতা করছে না বলে চুপ করে বসে থাকবেন? এসএসসি এবং পর্ষদের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিন!”

এরপরই অতিরিক্ত ১৫ দিন সময় চান সিআইডির ডিআইজি। বিচারপতি ওই আবেদন মঞ্জুর করেন।মুর্শিদাবাদের মুর্শিদাবাদের গোঠা এয়ার স্কুলের চাকরি করছিলেন অনিমেষ তিওয়ারি। অভিযোগ, তাঁর বাবার (ওই স্কুলেরই শিক্ষক) যোগসাজশে সুপারিশপত্র মেমো নকল করে চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার তদন্তে সিবিআই নয়, সিআইডি ডিজির উপর ভরসা রেখেছিল আদালত।

আদালত সূত্রের খবর, এই মামলায় পাঁচ অভিযুক্তের মধ্যে সিআইডি এখনও তিনজনকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এরপরই মঙ্গলবার ভরা এজলাসে সিআইডিকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। ডেকে পাঠান সিআইডির ডিআইজিকে।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ